Original Leather Wallet in Bangladesh:
ছেলেদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশের নাম মানিব্যাগ বা ওয়ালেট। প্রত্যেকের জীবনেই রয়েছে কত জানা অজানা গল্প এই মানিব্যাগ কে ঘিরে। দৈনন্দিন জীবনে আমরা [ছেলেরা] কম-বেশি সকলেই মানিব্যাগ বা অয়ালেট ব্যাবহার করে থাকি। এটির প্রচলন হয়েছিল ১৬৯০ সালের দিকে (কাগজের নোটের প্রচলনের পর থেকে), তবে সেইসময় বর্তমান সময়ের ন্যায় এটি এতো জনপ্রিয় ছিলোনা। আর না থাকাটাই সাভাবিক, নতুন বলে কথা। মানিব্যাগ বা ওয়ালেট পৃথিবীর সব দেশেই ব্যাপক ভাবে ব্যবহার হয়ে থাকে। চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে অনেকগুলো দেশেই এটি বাণিজ্যিক ভাবে তৈরি করা হয়ে থাকে। তন্মদ্ধে বাংলাদেশ সহ আমেরিকা, চায়না, ইন্ডিয়া, পাকিস্তান ছাড়াও অন্যান্য দেশগুলোতে এটি তৈরি করা হয়ে থাকে। তবে কাচামালের সহজলভ্যতা এবং শ্রমিকের মূল্য তুলনামূলকভাবে কম হবার কারনে বাংলাদেশে এই শিল্পের প্রসার সত্যিই গর্ব করার মত।

মানিব্যাগ তৈরিতে নানান জিনিস ব্যাবহার করা যেতে পারে যেমন; চামড়া, রেক্সিন, কাপড় ইত্যাদি। তবে ভালো মানের মানিব্যাগ মানেই কিন্তু চামড়ার তৈরি মানিব্যাগ বোঝায়। এই চামড়ার রপ্তানিকারক হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বে অন্যতম স্থান দখল করে আছে। এটি বিভিন্ন ডিজাইন, সাইজ ও রং এর হয়ে থাকে।
চামড়া দিয়ে যেমন জুতা ও নানান ধরণের ব্যাগ তৈরি হয়ে থাকে তেমনি চামড়া ব্যাবহার করে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অন্যতম ব্যাবহৃত পণ্য মানিব্যাগও তৈরি করা হয়ে থাকে। একজন পুরুষের প্রত্যহ ব্যাবহারের অন্যতম বস্তু হচ্ছে এই মানিব্যাগ যা তার ঘড়ি ও মোবাইল এর চাইতে বেশি দরকারি। এটি ব্যাবহারে একজন মানুষ নিশ্চিন্তে তার প্রয়োজনীয় টাকা, ভিজিটিং কার্ড, ডেবিট/ ক্রেডিট কার্ড নিয়ে চলা-ফেরা করতে পারে। এতে তাদের অর্থের গোপনীয়তা রক্ষা পায়। মানিব্যাগ কখনো কখনো আবার প্রতিবেশী বা বন্ধু মহলেও কিছু সুন্দর মুহূর্তের জন্ম দেয়। এটি একজন মানুষের ব্যাক্তিত্বকে আরো ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম।

একটি আধুনিক মানিব্যাগে অনেক কিছুই রাখা সম্ভব যেমন; পেপারনোট, কয়েন, সিমকার্ড, মেমোরিকার্ড, আইডিকার্ড, পেনড্রাইভ, ডেবিট কার্ড/ক্রেডিট কার্ড, স্মার্ট কার্ড, ডোর এক্সেস কার্ড ইত্যাদি।
আমরা BDSHOP.com এর পক্ষ থেকে সবসময় দেশীয় তৈরি অরিজিনাল চামড়ার আকর্ষণীয় ডিজাইন এর তৈরি মানিব্যাগ অত্যন্ত সুলভ মূল্যে ক্রেতাদের দৌড় গোঁড়ায় পৌঁছে দিচ্ছি। এর বাইরে ইউনিক ডিজাইন এর বিদেশী মানিব্যাগ ও আমরা বিক্রি করে থাকি। যা আমাদের কাস্টমারদের দেয় ভিন্ন স্বাদের ছোঁয়া । আমরা দেশীও চামড়া শিল্পের আরো উন্নয়ন কামনা করি এবং বর্তমান প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে কিভাবে এই শিল্পকে আরও একধাপ এগিয়ে নেয়া যায় সেই চেষ্টাই করে যাচ্ছি। আমরা চাই ১৬ কোটি বাঙ্গালির মুখের হাসিকে আরও ফুটিয়ে তুলতে। আপনাদের একটুকু সুখের মূল্য আমরা বুঝি। তাই আমাদের এগিয়ে যাওয়া আপনাদের হাত ধরে। ক্ষণিকের জন্য নয়, আমরা চাই সুখে-দুঃখে সবসময় আপনাদের পাশে থাকতে।
নিচে আমাদের কালেকশন থেকে কিছু প্রোডাক্ট এর ছবি দেয়া হল ভালো লাগলে বা কোন মতামত থাকলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন।