ঘড়ি ফিচার ডেফিনেশন (পর্বঃ ১)

The-anatomy-of-a-watch-900x480

নতুন ঘড়ি কিনতে গিয়ে দোকানীর মুখে ঘড়ির নানা বর্ণনা শুনতে হয় বা অনলাইনে ঘড়ির বর্ণনা পড়তে হয়। অবশ্যাই সে বর্ণনায় এমন অনেক শব্দ থাকে যা কিনা সরাসরি যন্ত্রাংশ বা ইলেট্রনিক্সের সাথে জড়িত। তাই সব শুনে বা পড়েও অনেক কিছু বোঝা যায় না। আপনি যদি Watches সংক্রান্ত শব্দ বা শব্দগুলোর মানে আগে থেকেই জেনে নিতে পারেন তাহলে পরবর্তীতে জেনে বুজে ক্রয় করতে পারবেন আপনার পছন্দের ঘড়িটি ।

আসুন দেখে নেই ঘড়ি বিভিন্ন ফিচারের সংজ্ঞাগুলো।

১। ওয়াচ বায়ার গাইডঃ নিঘন্ট যেখান থেকে ঘড়ির টার্মস এন্ড ফিচারসমূহ জানা যায় ।

২। এলাম ফিচারঃ পূর্বে সেট করা নির্ধারিত সময়ে ঘড়ি পরিধানকারীকে জানিয়ে দেয়াব ফিচার। এটি হতে পারে ভাইব্রেশানের মাধ্যমে বা অডিওবল সিগনালের মাধ্যমে ।

৩। এনালগ ডিসপ্লেঃ সঠিক সময় দেবার জন্য যে ঘড়ি হাতল বা কাটা ব্যাবহার করে। সাধারণত তিন ধরনের কাটা থাকে। ঘণ্টার কাটা, মিনিটের কাটা ও সেকেন্ডের কাটা ।

url

৪। এটোমিক ঘড়িঃ যে ঘড়ি সঠিক সময় প্রদান করতে অতিমাত্রায় সঠিক এটোমিক ক্লককে রেডিও সিগনাল ব্যাবহার করে সময়ে রূপান্তর করে ।

url৫। অটোম্যাটিক মুভমেন্টঃ এ ফিচারটি মেকানিকাল ঘড়িতে থাকে। কাউন্টার ব্যালেন্স ব্যাবহার করে প্রধান স্প্রিয়ে দম দেবার ব্যাবস্থা থাকে ।

৬। ব্যালেন্স হুইলঃ একটি ভারসাম্যপূর্ণ চাকা যা দোলনের (সামনে পেছনে) মাধ্যমে ঘড়ির মুভমেন্টকে নিয়ন্ত্রনের কাজ করে থাকে ।

৭। ব্যারেলঃ এটি একটি সিলিন্ডার যেখানে প্রধান স্প্রিংটি থাকে এবং যেখান থেকে শক্তি স্থানান্তর করা হয়। প্রধান স্প্রিং পাক খুলে গিয়ে ব্যারেলের মাধ্যমে গিয়ারকে চালিত করে ।

৮। বেজেলঃ একটি রিং বা কাঠামোবদ্ধ চক্র যেটি ঘড়ির ফেসে থাকে। এটি সাধারণত স্পোর্টস ঘড়িতে থাকে।

৯। ব্রেক স্প্রিংঃ এটি এমন একটি মেকানিজম যা গাড়িতে থাকা ক্লাচের মত কাজ করে। এটি প্রধান স্প্রিংকে অতিরিক্ত আঘাত পাওয়া থেকে এবং ভেঙ্গে যাওয়া থেকে বিরত রাখে ।

১০। ক্যালেন্ডারঃ একটি নির্দেশনা যা ঘড়িতে তারিখ, দিন, মাস কিছু ক্ষেত্রে বছর প্রদর্শন করে ।

th

১১। ক্যালিবারঃ এটি একটি মেকানিকাল মুভমেন্ট। অনেকটা ভিন্ন ভিন্ন গাড়ির ইঞ্জিনের যেমন আলাদা আলাদা উপাধি থাকে যা গাড়িতে ইন্সটল করা হয়। (কোয়ার্টজ মুভমেন্টকে বলা হয় মডিউল)

১২। কেসঃ এটি হল গাড়ির বডি যা ঘড়ির মুভমেন্ট যন্ত্রাংশ ও এটাচিগুলোকে ধারন করে ।

১৩। ক্র্যানোগ্রাফঃ এমন একটি ঘড়ি যেটা সময় বলা ছাড়াও স্টপ ওয়াচ হিসেবে কাজ করতে পারে । সবচেয়ে সাধারন কনফিগার অনুযায়ী ঘড়ির ফেসে তিনটি সাব ডায়াল থাকে ।

EFR-503D-7A2

১৪। ক্রানোমিটারঃ ক্রনোমিটার টাইটেল পেতে হলে সুইজারল্যান্ডের দ্যা ওয়াচ ইন্সটিটিউটের কিছু কঠোর টেস্টের মধ্য দিয়ে যেতে হয় ।

১৫। কমপ্লিকেশন্সঃ ঘণ্টা মিনিট সময় প্রদানের বাইরে অতিরিক্ত যেসব ফিচার কোন ঘড়িতে থাকে। (কোয়াটজ মুভমেন্টে তাদের বলা হ্য় ফাংশান)

১৬। কাউন্ট ডাউন টাইমারঃ এই ফিচার অনুযায়ী একজন ঘড়ি ব্যাবহারকারী তার ঘড়িতে নিদ্রিস্ট একটি সময় ঠিক করে দিতে পারেন যা ঘড়ি গণনা করবে এবং সে সময় অতিক্রম করলে শব্দ করবে ও এলাম দিবে ।

essentialcountdown2

১৭। ক্রাউনঃ সঠিক সময় প্রদান বা ঘড়িতে দম দেবার জন্য ব্যাবহারকারী স্টিমে যে নব বা হ্যান্ডল যুক্ত করা থাকে।

১৮। ক্রিস্টালঃ ঘড়ির ডায়াল বা ফেসকে ধুলা বা ময়লা থেকে রক্ষা করতে ডায়ালের উপর যে সচ্ছ ঢাকনা থাকে।

৯। ডেপ্টথ এলারমঃ এটি ডাইভারদের ঘড়ির একটি ফিচার যেটি ব্যাবহারকারীকে নিদ্রিস্ট গভীরতা অতিক্রম করার পর ডাইভারকে সতর্ক করে ।

২০। ডেপথ মিটারঃ এর মাধ্যমে ডাইভার গভীরতা জানতে পারে।

1037906-casio-wrist-watch-efr-avudf-men