X

ঘড়ি কেনার গাইডলাইন । (পর্ব – ২)

প্রথম পর্ব মিস করে থাকলে দেখে আসতে পারেন এখান থেকে

ঘড়ি কেনার গাইডলাইন । (পর্ব – ১)

কিছু সুপরিচিত ব্র্যান্ড হল

এন্ট্রি লেভেলঃ

  • অমাক্স (Omax)
  • কিউ&কিউ (Q&Q)
  • কারেন (Curren)

এগুলো দাম ও কুয়ালিটির দিক দিয়ে শুরুর দিকের ঘড়ি। আপনার বাজেট কম হলে উক্ত ব্রান্ড এর ঘড়ি কিনতে পারেন।

মিড লেভেল ঘড়িঃ 

  • ক্যাসিও (Casio)
  • সিটিজেন (Citizen)
  • সিকো (Seiko)
  • টাইটান (Titan)
  • টাইমেক্স (Timex)

এই ঘড়িগুলো দামের দিক দিয়ে মিডিয়াম এবং কুয়ালিটির দিক দিয়ে অনেক ভালো তবে ম্যাটেরিয়াল খুব বেশি এক্সপেন্সিভ নয়। মূলত এই ক্যাটেগরির প্রোডাক্টই সারা পৃথিবীতেই বেশি সেল ও ব্যাবহ্রিত হয়ে থাকে। দীর্ঘ স্থায়িত্ব ও দাম এর জন্য এই ঘড়িগুলোর বিকল্প ণেই।

লাক্সারি ব্র্যান্ড ঘড়িঃ

লাক্সারি ঘড়ি বেছে নেবার জন্য ক্রেতাদের হাতে রয়েছে অনেক অপসান। যারা অসাধারণ একটি ঘড়ি সংগ্রহ করতে যেকোন পরিমাণ অর্থ ব্যায় করতে পিছ পা হন না তাদের জন্যই লাক্সারি ঘড়ি। কিছু নাম যেমনঃ রোলেক্স খুব পরিচিত কিন্তু পেনেরাই এর মত ঘড়িগুলো তুলনামুলকভাবে কম পরিচিত হলেও এগুলো অসাধারন কিছু ফিচার অফার করে থাকে।

  • রোলেক্স
  • ওমেগা
  • পেনেরাই
  • ব্রিমোন্ট

লাক্সারি ঘড়িগুলো আপনাকে প্রেস্টিজ ও ইতিহাস অফার করবে আর সাথে কোয়ালিটি ইঞ্জিনিয়ারিং ও অসাধারণ সব ফিচার ত থাকবেই।

ঘড়ির ফিচার মুল্যায়নঃ

কিছু ঘড়ি অপসানাল ফিচার নিয়ে আসে। কারো হয়ত দিনে কয়টি পদক্ষেপ ফেলছেন তা জানার জন্য পেডো মিটার দরকার, আবার সব সময়ই বাহিরে কাজ করতে একজন লোকের আবার ওয়াটার রেসিস্ট ঘড়ির খুবই দরকার পড়বে , কারো চাই তাপ (Tempareture) ও উচ্চতা (Altitude) শম্রিধ ঘড়ি। তাই ঘড়ি কেনার আগে ব্যাবহারকারীকে দেখতে হবে তার প্রয়োজন পড়বে এমন সব ফিচার কোন ব্র্যান্ডের ঘড়িতে রয়েছে ।

ক্যালেন্ডার: 

আজকের ব্যাস্ত জীবনে ঘড়ির সাথে ক্যালেন্ডার থাকাটা খুবই জরুরী । ক্যালেন্ডার ঘড়ি ব্যাবহারকারির পছন্দ করা ফরম্যাটে দিন, তারিখ ও বছর প্রদর্শন করে থাকে । যেমনঃ মিলিটারি ডিসপ্লে। কিছু ঘড়িতে ক্যালেন্ডার ও রিমাইন্ডার অপসান থাকে যেগুলো আপনার প্রতিদিনের সিডিউলকে আরো সহজ করে দেয়। কিছু ঘড়ি আবার মুন ফেস ইন্ডিকেটর ফিচার অফার করে। ওয়াল্ড টাইম ওয়াচগুলো ভ্রমণকারিদের জন্য দারুন । সেখানে সকল টাইম জোনের সময় দেখানো হয় ।

ক্র্যানোগ্রাফ:

একজন এথলেট ক্রনোগ্রাফ ঘড়ি পছন্দ করবে যেটা স্টপ ওয়াচের কাজ করবে। ক্রনো গ্রাফগুলো সাধারণত স্প্লিট সেকেন্ড ফরম্যাটে হয়ে থাকে । কোন কোনটি আবার দুই ধরনের টাইম ফরম্যাট একই সাথে দেখিয়ে থাকে । দৌড়বিদ ও সাতারুদের জন্য যা কিনা অসাধারণ একটি ব্যাপার। এর বাইরে কিছু ঘড়ি ট্যাকি মিটারও অফার করে থাকে। ট্যাকি মিটার সময় ও দূরত্ব হিসাব করে গতি বের করতে সাহায্য করে ।

হার্ট মনিটর: 

খোলোয়ার মনোভাব সুলভ লোকদের জন্য আরেকটি অপসান রয়েছে হার্ট মনিটর ঘড়ি। এটি প্রতি মিনিটে হ্রদ কম্পন গণনা করতে পারে সাথে যেহেতু পেডমিটার থাকে তাই নিদ্রিস্ট সময়ে ও সেটার পরিমাণ জানা যায় সহজেই।

ওয়াটার রেসিস্ট ওয়াচঃ

এডভেনচার পছন্দ করা লোকজন ওয়াটার রেসিস্ট ঘড়ি পছন্দ করবে । এ ধরনের ঘড়ি যেগুলো ৩০ মিটার পর্যন্ত এ সুবিধা প্রদান করে সেগুলো হল স্প্লাস – প্লুফ। ৫০ মিটার পর্যন্ত ওয়াটার রেসিস্ট মানে আপনি সেটা সব জায়গাতে ব্যাবহার করতে পারবেন এমন কি গোসলের সময় ও। ১০০ মিটার মানে হল আপনি এটা পরে সাতার বা ডাইভিং করতে পারবেন অনায়াসে । ২০০ মিটার মানে আপনি এটা পরে স্কুবা ডাইভিং করতে পারবেন।

পছন্দের ফিচার ও দামের সাথে মিলিয়ে বেছে নিন আপনার ঘড়িটি।

Zakir Hosen:

View Comments (1)

Related Post