Infraphil Therapy Lamp For Pain Relief And Acne Treatment

আসসালামু-আলাইকুম। BDSHOP.com ব্লগে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম। আমি রাইসুল ইসলাম খান, আজকে খুবই দরকারি এবং অসাধারণ কার্যকরী একটা প্রোডাক্ট নিয়ে আলোচনা করবো। মূল আলোচনা শুরু করার আগে আরও কিছু বিষয় ক্লিয়ার করে নিতে চাই। BDSHOP.com রেগুলার প্রোডাক্ট এর বাইরে এমন কিছু লাইফ চেঞ্জিং প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করে যা সবার না হলেও কিছু মানুষের জন্য অনেক প্রয়োজনীয়।

তবে আজকে এমন একটি প্রোডাক্ট নিয়ে আলোচনা করবো যা প্রায় ৫০% এর বেশি মানুষের অনেক প্রয়োজনীয় লাইফ চেঞ্জিং একটা প্রোডাক্ট। এই প্রোডাক্টটা কার্জভেদে অনেক নামেই পরিচিত যেমনঃ ইনফ্রারেড ল্যাম্প, থেরাপি ল্যাম্প, রেড লাইট, পেইন কিলার থেরাপি ল্যাম্প ইত্যাদি। বিভিন্ন কোম্পানি এই ল্যাম্প বিক্রি করে তবে ইনফ্রারেড প্রযুক্তির শুরু থেকে ফিলিপ্স কোম্পানি এই ল্যাম্প দক্ষতার সাথে তৈরি এবং বিক্রি করে আসছে। ফিলিপ্স এই ল্যাম্প এর নাম রেখেছে ইনফ্রাফিল যা বাসায় ব্যাবহারের উপযোগী করে তৈরি করা হয়েছে।

ফিলিপ্স এর বিভিন্ন মেডিক্যাল পণ্যের মাঝে ইনফ্রাফিল থেরাপি ল্যাম্প অনেক জনপ্রিয়। সচেতনতার তালিকায় যেসব দেশ উপরের দিকে রয়েছে সেসব দেশে ইনফ্রাফিল ল্যাম্প অনেক জনপ্রিয় একটা নাম। আমাদের দেশেও সচেতন মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে তাই আমরা তাদের কথা মাথায় রেখেই BDSHOP.com এ ইনফ্রাফিল নিয়ে এসেছি। আগেই বলেছি এটা একটা অসাধারণ প্রোডাক্ট এবং অনেক কার্যকরী তাই সবার আগে প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানুন এবং সবকিছু জানা হলেই আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী অর্ডার করুন।

ইনফ্রারেড কি?

ইনফ্রারেড (Infrared) এর বাংলা নাম হচ্ছে অবলোহিত অথবা অবলোহিত বিকিরণ। যে সকল তড়িৎ চৌম্বক বিকিরণের তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের সীমা ১ মাইক্রোমিটার থেকে ১ মিলিমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত তাদের বলা হয় অবলোহিত বিকিরণ আইআর রশ্মি। এই বিকিরণের তরঙ্গ দৈর্ঘ্য দৃশ্যমান আলোক তরঙ্গ দৈর্ঘ্য অপেক্ষা সামান্য বড়। খালি চোখে এদের দেখা যায় না। উইলিয়াম হার্শেল ১৮০০ সালে এই বিকিরণ আবিস্কার করেন।

ইনফ্রারেড ল্যাম্প কি?

ইনফ্রারেড ল্যাম্প হচ্ছে একটি ইলেকট্রিক্যাল যন্ত্র যা অবলোহিত আলো নির্গত করে। ইনফ্রারেড লাইট সবচেয়ে বেশি ব্যাবহার ইন্ডাস্ট্রিয়াল অথবা বাসাবাড়িতে তাপ উৎপন্ন করার জন্য। তাছাড়া অপটিক্যাল ফাইবার্স এবং রিমোটেও ইনফ্রারেড ল্যাম্প ব্যাবহার হয়। এর বাইরে ফিজিওথেরাপি এবং বিউটি থেরাপিতেও ইনফ্রারেড লাইট ব্যাবহার হয়।

রসায়ন বিজ্ঞানে প্রয়োগঃ

রাসায়নিক বিক্রিয়ায় বিক্রিয়ক ও উৎপাদের কম্পন ব্যান্ড থেকে বিক্রিয়ার সম্ভাব্যতা ও বিক্রিয়ার হার সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। আবার কোন পদার্থের দ্রবণে ঘনমাত্রা নির্নয়েও অবলোহিত রশ্মি বা বর্নালি ব্যবহার করা হয়। জৈব-অজৈব যৌগের গঠন নির্নয়ে অবলোহিত রশ্মি ব্যবহার করা হয়।

চিকিৎসা বিজ্ঞানে এর প্রয়োগঃ

চিকিৎসা বিজ্ঞানে সর্বপ্রথম ১৯৫৬ সালে বক্ষ ক্যান্সার সনাক্তকরণের মাধ্যমে এর ব্যাবহার শুরু হয়। ক্যান্সার আক্রান্ত কোষ এর অস্থান ও বিস্তৃতি সনাক্তকরণের জন্য আইআর রশ্মি ব্যবহার করা হয়। সন্নিকট আইআর রশ্মি দ্বারা রক্তের হিমোগ্লোবিন এ অক্সিজেন পরিমাপ করে মস্তিষ্কে রোগ নির্ণয় করা হয়। মূলত সদ্য প্রসূত শিশুদের মস্তিষ্কের ক্ষত নির্নয়ে এটি ব্যাপকভাবে ব্যাবহৃত হয়। তাছাড়া ফিজিওথেরাপি সহ স্কিন ডিজিজের কাজেও ব্যাবহৃত হয়।

ফিজিওথেরাপিতেঃ

শরীরে বিভিন্ন অঙ্গে ব্যাথা, মাংসপেশী শক্ত হয়ে যাওয়া, ঘাড় ও হাতের উপরিভাগের ব্যাথা বা ফ্রোজেন সোল্ডার এর ব্যাথা নিরাময়ে আক্রান্ত স্থানে আইআর রশ্মি প্রয়োগ করে ম্যাসাজ করা হয়।যার ফলে আক্রান্ত স্থানে রক্ত চলাচল সচল হয় এবং ব্যাথা প্রশমিত হয়। এই রশ্মির প্রভাবে রক্ত সংবহন এবং কোষের জৈবিক কার্যকলাপ বৃদ্ধি পায়। এটি সমস্ত দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধি না করে ত্বকের প্রয়োজনীয় জায়গায় তাপ বৃদ্ধি করে এবং ত্বকে শিথিলতা আনে। রক্তনালীগুলোকে প্রশস্ত করে এবং ত্বকে রক্ত পরিবহনের মাত্রা বৃদ্ধি করে ত্বকের কোষ কলাকে উদ্দীপ্ত করে। কোষ কলার মেটাবলিজম বা কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে ও ত্বকের রাসায়নিক পরিবর্তনে সাহায্য করে। যেহেতু এই রশ্মি ত্বকের গভীরে পৌঁছে ফলে ত্বকের সেই অংশটুকুতে সামান্য গরম ও আরাম অনুভূত হয়, রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এবং ক্ষতিগ্রস্ত মাংসপেশীগুলো শিথিল হয়ে ব্যাথা-বেদনা দূর হয়।

চলবে…………………………………!