১৯৮৩ সালে ক্যাসিও তাদের নতুন “এক্সট্রা টাফ” ঘড়ি জি শক (Casio G-Shock) বাজারে আনে। ক্যাসিওর মতে ভোক্তারা সব সময়ই ভঙ্গুর আর রিপ্লেসেবল ঘড়ি দেখে অভ্যাস্ত। তাই তারা চাইছিলেন এমন একটি ঘড়ি বানাতে যা কি না সারা জীবনভর টিকে থাকবে। তারা সেটা করতে সমর্থ হয় এবং শতাধিক ঘড়ি এই লাইনে যুক্ত করার পাশাপাশি ওগুলোতে এলারম থেকে শুরু করে ব্লু-টুথ ইত্যাদি দারুন সব ফিচার যুক্ত করতে থাকেন বছর জুড়ে । জি শকের অনেক মডেল থেকে নিজেরটি বেছে নিতে গিয়ে ক্রেতারা সমস্যায় পরেন। এক্ষেত্রে ক্রেতাকে ঘড়ি নির্বাচনের ক্ষেত্রে ফিচারের পাশাপাশি স্টাইলের দিকে ও নজর দেয়া উচিত। নিচে আমরা ঘড়ি পছন্দ করার জন্য কিছু গাইড লাইন সম্পর্কে জানবো যেগুলো অনুসরণ করলে একজন ক্রেতা খুব সহজেই তার পছন্দের ঘড়িটি বেছে নিতে পারবেনঃ
G-SHOCK স্টাইলঃ
জি শক লাইনের ঘড়িগুলো মুলতই পুরুষদের জন্য তবে নারীদের জন্য তারা উৎপাদন করেছে বেবি জি।পুরুষদের ঘড়িগুলো আকারে বেশ বড়, দুই ইঞ্ছি বাই দুই ইঞ্চি । ডিজাইনারা স্কোরটস ম্যান,আউটডোর ম্যান, রেস্কিউ ম্যান দের কথা মাথায় রেখে জি শক লাইনের ঘড়িগুলোকে কঠিন ও রুক্ষ করে বানানোর দিকে নজর দিয়েছেন। এর অধিকাংশ ডিজাইনই বড় আকারের ও স্পোর্টী। উদাহরণস্বরূপঃ মাডম্যান সিরিজের ঘড়ি গুলো কাদা ও ধুলো প্রতিরোধ করতে পারে তাই এটি মিলিটারি, পুলিশ, ও ফায়ার অফিশিয়ালদের কাছে বেশ জনপ্রিয়।
জি শকের ফিচারঃ
জি শকের ঘড়ি গুলো সাধারন ফ্যাশনেবল ঘড়ির চাইতে বেশি কিছু। এই লাইনের সব ঘড়ি গুলোতে বেশ কিছু ফিচার থাকে যেমনঃ এলারম, অটো ক্যালেন্ডার, ওয়াটার রেসিস্টেনশ, এটোমিক টাইম কিপিং, ব্যাক লাইট, স্টপ ওয়াচ, কম্পাস, উচ্চতা পরিমাপক, তাপমাত্রা পরিমাপক, দিক নির্দেশনা, এভিয়াশন এবং আরো অনেক কিছু। নতুন ঘড়িগুলতে এপল ও স্যামসাং এবং অন্যান্য উন্নত মানের মোবাইল ব্র্যান্ড এর কিছু পণ্যের সাথে ব্লু টুথ কম পেটিবিলিটি আছে। এর ফলে ব্যাবহারকারি তাদের ঘড়ি ব্যাবহার করে ই মিউজিক কনট্রোল, ইমেইল বা এসএমএস নোটিফিকেশন, ইঙ্কামিং কল এর মত কাজ করতে পারবেন।
পাওয়ারের ক্ষেত্রে অনেক জি শক ব্যাটারিতে চলে তবে কিছু সোলারের সাহায্যেও চলে। আপনি যদি জি শক ঘড়ি কিনতে চান তবে আপনাকে প্রথমে ঠিক করে নিতে হবে যে আপনি ডিজিটাল, এনালগ, অথবা দুটোর কম্বিনেশন এবং পাওয়ারের উৎস কি হবে এবং তারপর কোন কোন ফিচার চাচ্ছেন সেগুলো ঠিক করে নিতে হবে।
জি ঘড়ি কালেকশানঃ
ক্যাসিও প্রায়শই তাদের পুরনো ঘড়ি গুলোকে রিটায়ারে দিয়ে নতুন ঘড়ি বাজারে ছাড়ে । তাই আপনি সেগুলো থেকে নতুন বা ভিন্টেজ মডেলের জি শক বেছে নিতে পারেন। জি শকের কিছু ঘড়ি লিমিটেড এডিশনের যেমনঃ জি শক ডি এবং রিকি ।
ঘড়ির মডেল নাম্বারের প্রথম দুই বা তিন অক্ষরের মানে বুজতে পারাই হচ্ছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
Type Code | Meaning |
AW | Analog, water resistant |
AWG | Analog, Wave Ceptor |
BG | Baby-G |
DW | Digital, water resistant |
GA | Analog or Digital, XL |
GC | G-shock Cool |
GD | Digital, XL |
GL | G-Lide |
GLX | G-Lide X |
GRX | G-Ride X |
GW | Wave Ceptor |
MTG | Metal Twisted G-shock |
WW | Water resistant, wide temperature |
এর বাইরেও প্রতি সপ্তাহেই আসছে নতুন নতুন মডেল ও ফাংশন এবং সেই অনুপাত এ তার নাম ও সিরিজ নির্ধারিত করা হয়।
আসল জি শকঃ
যেকোন বিলাস পণ্যের মতই জি শকের ও Replica ঘড়ি রয়েছে। জি শকের ঘড়ির সামনে এবং পেছেনে ক্যাসিও খোদাই করা আছে এবং ব্যাজেলে রয়েছে জি শক লেখা। এর ফিনিশিং ও সকল ফাংশন একটিভ থাকবে। G-SHOCK ঘড়ির প্রায় সকল মডেল ২০০ মিটার পর্যন্ত ওয়াটার প্রুফ। এগুলো G SHOCK এর জন্য স্পেশাল ভাবে তৈরিকৃত বক্স এ আসে। সাথে অবশ্যই বড় সাইজ এর ক্যাটালগ বা ম্যানুয়াল থাকবে। আর সবচাইতে বড় কথা হল Casio G Shock এর কোন ঘড়ির দামই বাংলাদেশী টাকায় ৭০০০ এর নিচে হবেনা এবং কোন কোন ক্ষেত্রে ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এই মার্কগুলো না থাকা মানে সেটি ক্যাসিওর ঘড়ি নয়।
এসব বিষয় গুলো খেয়াল রেখে বেছে নিন আপনার পছন্দের জি শক ক্যাসিও ঘড়িটি ।