X

এন্টিক ও ভিন্টেজ ঘড়ির পার্থক্য (পর্ব -১)

একজন ঘড়ি সংগ্রাহক কোন পুরনো ঘড়ি দেখে ভাবতে থাকেন এটা মুল্যবান এন্টিক ঘড়ি না ভিন্টেজ ঘড়ি  ? তাহলে প্রশ্ন আসে ভিন্টেজ ঘড়ি কি আর এন্টিক ঘড়িই বা কি ?

যদি কোন ঘড়ির বয়স কমপক্ষে ১০০ বছর হয় তবে সেটি এন্টিক ঘড়ি এবং যদি কোন ঘড়ি কমপক্ষে ২৫ বছর হয় তবে সেটি ভিন্টেজ। ভিন্টেজ সে সময়টার কথা বলে যখন ঘড়িটি জনপ্রিয় হয়েছিল। উদাহরণস্বরূপ একটি আশির দশকের শুরুতে জনপ্রিয়তা পাওয়া সোয়াছ একটি ভিন্টেজ আবার ১৮৭৫ সালের একটি পকেট ঘড়ি একটি এন্টিক। বিশেষজ্ঞরা কখনো কখনো ভিন্টেজ ও এন্টিক শব্দ দুটোকে একই ঘড়ির জন্য ব্যাবহার করেন কেন না একটি ক্লাসিক ঘড়ি এন্টিক ও ভিন্টেজ দুটোই হতে পারে। ভিক্টোরিয়া যুগের কোন ঘড়ির যার বয়স ১০০ পেরিয়ে গেছে সেটা দুই নামেই ডাকা যাবে। একজন বিশেষজ্ঞের কাছে ভিন্টেজ মানে যে ঘড়ি কয়েক দশকের পুরণো এবং ভিন্টেজ মানে যে ঘড়ি কয়েক শতকের পুরনো ।

ভিন্টেজ ঘড়ি

ঘড়ি সংগ্রাহকরা বিভিন্ন ধরনের ভিন্টেজ ঘড়ির খোজ করে থাকেন । যেমন রিস্ট ওয়াচ, পকেট ওয়াচ এবং ছোট আকর্ষণীয় ঘড়ি। ঘড়ি সংগ্রহকেরা অসাধারণ কারুনৈপন্য সবিক্রতি দেবার সাথে সাথে মুল্যবান সে ঘড়ি উৎপাদকের নাম ও অনুসন্ধান করেন। কোন ঘড়ি মূল্যায়নের সময় আপনি এর বহিরাভরন পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখতে পারেন, ব্যাবহার করার কিছু চিহ্ন সেখানে থাকবে, হয় নিচের সেলটা বিবর্ণ হয়ে ক্ষয়ে যাবে, ব্যান্ডস ও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

সবচেয়ে বেশি আগ্রহ থাকে সংগ্রহ রেল রোড কোম্পানির ব্যাবহার করা পকেট ঘড়ির দিকে। এই মডেলটি মুল্য অনেক বেশি কেননা সরকারি ভাবে সময় নির্ধারণের মানদণ্ড হিসেবে এ ঘড়ি ব্যাবহার করা হত। এই ঘড়িগুলো সময় মত ট্রেন ছেড়ে যাবার জন্য ব্যাবহার করা হতো । প্রতিটি ঘড়ির দেয়া সঠিক সময়ের উপর ভিত্তি করে রেল কর্মীরা ট্রেন দুর্ঘটনা এড়িয়ে যাবার পাশাপাশি ট্রেনের টাইম সিডিউল মেনে চলতেন। একটি ঘড়ির মুল্য নির্ধারণের আরেকটি উপায় হল এতে কি কি রত্ন যোগ করা আছে এবং এটি সঠিকভাবে চালাতে কি কি সংযোজন করার দরকার পরে। রত্নগুলো হবে ইন্টাস্ট্রিয়াল গ্রেড জেম যা ঘড়ি উৎপাদকের ডিভাইসের গিয়ারের জন্য বেয়ারিং হিসেবে ব্যাবহার করতো। রত্নগুলো ঘড়ির ঘর্ষণ কমিয়ে দেয় এবং ঘড়ির ভেতরের যন্ত্রপাতির ক্ষয় ও হ্রাস করে দেয়। উচ্চ গুনগত মানের ঘড়িতে অনেক বেশি রত্ন থাকতো। এমনকি একটি ঘড়িতে ২৫ টি পর্যন্ত রত্ন থাকতো। যখন কোন সংগ্রাহক অনেক রত্নসহ কোন ঘড়ির সন্ধান পেত স্বাভাবিকভাবেই সেটা তাদের কাছে অনেক মুল্যবান বলেই স্বীকৃ্তি পেত।

মুল্যবান ঘড়ি নির্ধারণের টিপস

অধিকাংশ ভিন্টেজ ঘড়িগুলোই ধাতব উপাদানে বানানো। সাধারণত এগুলো প্লাস্টিক উপাদানে বানানো হয় না, নিশ্চিত হতে এর উপাদান পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখুন । এটিতে স্বর্ণ বা সিলভার ব্যাবহার করার চিহ্ন থাকা উচিত। একটি সিলভার ওয়াচে খাটি সিলভার ব্যাবহার করা হয় বা ৯২৫ স্টাম্প যা ধাতবের খাটিতব সম্পর্কে ব্যাখা দেয় । উৎপাদনকারিরা ঘড়িতে সোনা ব্যাবহার করলে তারা ঘড়িতে খোদাই করে তার গ্রেড উল্লেখ করে দেয় যেমনঃ ১০কে, ১৪কে, ১৮কে, ২৪কে, যা সোনার খাটিত্ব সম্পর্কে ধারনা দেয়। আমেরিকান উৎপাদনকারীরা ঘড়িতে সাধারণত ১৪ ক্যারেটের সোনা এবং ইউরোপিয়ানরা ১৮ বা ২৪ ক্যারেটের সোনা ব্যাবহার করেন। সংগ্রাহকরা একটি চুম্বক দন্ড দিয়ে উপাদানের খাটিত্ব নিনয় করেন। চুম্বক যদি ব্যান্ডকে আকর্ষণ করে তবে সে উপাদান চুম্বক বা সিলভার নয়। চুম্বক দিয়ে ঘড়ির মুল অংশ পরীক্ষা করা থেকে বিরত থাকা উচিত কেন না এতে করে ঘড়ির ভেতরের যন্তাংশ ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে ।

Zakir Hosen:

View Comments (2)

Related Post