X

Air Purifier in Bangladesh

বাচতে হলে জানতে হবে এবং শুধু জানলেই হবেনা মানতেও হবে। আগে মানে আমাদের দাদা কিংবা তাদের  পরপুরুষ গন কিভাবে এত বেশিদিন বাঁচতেন তাউ সুস্থভাবে? এই প্রশ্নের উত্তর খুজতে গেলে অনেক্ক কিছুই চলে আসবে যেমন- বিশুদ্ধ/ বিষ মুক্ত খাবার, নির্মল বাতাস আর অনেক কিছুই। আজ চলুন নির্মল বাতাস নিয়ে কিছু আলোচনা করা যাক তবে আগেই বলে নেই- আমি মোটেও কোন বিশেষজ্ঞ নই কিন্তু পড়া লেখা করে একটু ইনফরমেশন খুজে পাউয়া মে বি কারও জন্যই খুব বেশি সমস্যা হবেনা।
বাতাস অথবা বায়ু ছাড়া পৃথিবীর কোন প্রাণীই এক মুহূর্ত বাচতে পারবেনা। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত বায়ু আমাদের নিত্যসঙ্গী। বিভিন্ন গবেষণায় দেহা গেছে যে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ প্রতিদিন প্রায় ১১,০০০ লিটার বায়ু সেবন করে থাকেন।

 

একজন মানুষ না খেয়ে, না ঘুমিয়ে কিংবা আর নানাবিধ প্রতিকূল পরিবেশেও লম্বা সময় ধরে বেচে থাকতে পারে কিন্তু বায়ু ছাড়া মাত্র কয়েক মিনিটের বেশি বেচে থাকা সম্ভব না। তাই বায়ু অর্থাৎ নির্মল বায়ু সেবনে শরীর যেমন সুস্থ থাকে তেমনি মানুষ দীর্ঘজীবী হয়। আর ঠিক এর বিপরীতে অর্থাৎ দুষিত বায়ু সেবনে দেখা দেয় শ্বাসকষ্ট সহ হাজারো রোগ ব্যাধি। তাই সুস্থ থাকতে চাই নির্মল বায়ু। কিন্তু নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করুন আপনি যে পরিবেশে থাকছেন তা কতটুকু নির্মল?

তাহলে এত বায়ু দুশনের মধ্যেও সুস্থ থাকার উপায় কি?

বায়ু দূষন এখন আর শুধু কোন একটি দেশ বা এলাকার সমস্যা নয়, এটি এখন  বৈশ্বিক সমস্যা। সারা পৃথিবীতেই এই সমস্যা এখন প্রকট আকার ধারন করেছে। আর তাই সুস্থ থাকতে এবং দীর্ঘজীবী হতে চাইলে প্রথমেই দরকার নির্মল বায়ু যা ছাড়া এক মুহূর্তও বেচে থাকা পসিবল না। কিন্তু এখন চারদিকে এত এত পলুশন যে নির্মল বায়ু ত অনেক পরের কথা নাক মুখ ধরেও চলা মুস্কিল। আর এই দুশিত বায়ু যে শুধু মাত্র রাস্তায় তা কিন্তু নয়। রাস্তা থেকে এই বায়ু চলে আসে আমাদের বাসায় কিংবা অফিসে। আর তাই বাসা এবং অফিস যেখানে আমরা দিনের বেশি সময় কাটাই সেই জায়গার বাতাস নির্মল হউয়া অনেক বেশি জরুরি। যেহেতু আমি আপনি অনেক চেস্টা করেও খুব বেশি পরিবর্তন করতে পারছিনা তাই সবার আগে নিজের এবং পরিবারের জন্য নির্মল বায়ুর ব্যাবস্থা করা অনেক বেশি জরুরি।

নির্মল বায়ু পাবার উপায়

পৃথিবী ব্যাপি এই সমস্যার সমাধানে ইতোমধ্যেই অনেক দেশ এগিয়ে এসেছে কিন্তু এর সমাধান সহসা সম্ভব নয়। হয়ত কয়েক জেনারেশন লেগে জেতে পারে এর মটামুটি একটি সুফল পেতে। তাই এখনি কিছু জিনিশ করা জেতে পারে তার মদ্ধে কিছু বিসয় হল-

১. এয়ার পিউরিফায়ার (Air Purifier) ব্যবহার করা

এটি খুব কার্যকরী এবং আপনাকে কয়েক মিনিট পর থেকেই রেজাল্ট দিতে শুরু করবে। একটি এয়ার পিউরিফায়ার আপনার বাসার কিংবা অফিস এর দুষিত বায়ু কে নির্মল বায়ুতে রুপান্তর করতে পারে খুব সহজেই। খুবই সাশ্রয়ী এবং ৫০ ওয়াট বা এরও কম রেটিং এর একটি এয়ার পিউরিফায়ার আপনাকে অনেক বড় এবং দীর্ঘ মেয়াদী সমস্যা থেকে বাচাতে পারে। খালি চোখে বাসার কিংবা অফিস এর বাতাস পরিষ্কার  মনে হলেও তাতে থাকে অনেক ভারি ও আণুবীক্ষণিক ক্ষতিকারক পারটিকেল যা ফুসফুস সহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
২. বাসা এবং আশে পাশে একই সাথে সারা দেশ ব্যাপি সুবজ বনায়ন গড়ে তোলা

বাংলাদেশে কোথায় পাবেন এয়ার পিউরিফায়ার?

যেহেতু বাংলাদেশে এয়ার পিউরিফায়ার এর ধারণাটি খুবই নতুন এবং শুধুমাত্র সচেতন লোকেরাই এটি কিনে থাকেন তাই হয়ত জেকন শরুমে গেলেই পাবেন না। তবে খুশির ব্যাপার হল আপনি চাইলে Air Purifier অনলাইনেই অর্ডার করে আপনার বাসা কিংবা অফিসে ডেলিভারি নিতে পারেন বিভিন্ন বিশ্বখ্যাত ইলেক্ট্রনিক্স ব্র্যান্ড যেমন- Phillips, Sharp, Panasonic, Samsung এর মত নামকরা সব প্রোডাক্ট।
Zakir Hosen:
Related Post